, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
রাজশাহীতে ফেরিঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ! গাজীপুরে জোরপূর্বক গাছ কর্তন ও বিক্রির অভিযোগ। ফরিদপুরে ভুয়া মেজর ভুয়া পরিচয় দানকারী সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক মহাদেবপুরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার হুশিয়ারী-ইউএনও’র ভাঙ্গায় কন্যাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রবাসী বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে, চট্টগ্রাম জেলা আইজীবি সমিতির সাধারন আইনজীবিদের ভোটা অধিকার হরণের প্রতিবাদে কালো মাক্স পরিধান করে নিরব প্রতিবাদ ফুলতলায় অপচিকিৎসা রুখতে গিয়ে কুচক্রী মহলের অপতৎপরতায় বিপাকে ডাক্তার মিজান আবর্জনাময় পথেই চলতে হচ্ছে রসুলবাগ একোর্ড ভবনের বাসিন্দাদের ভাঙ্গায় এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ রামপালে সচেতন নাগরিক সমাজ এর প্রতিবাদ সমাবেশে কৃষিবিদ শামীম

আবর্জনাময় পথেই চলতে হচ্ছে রসুলবাগ একোর্ড ভবনের বাসিন্দাদের

  • প্রকাশের সময় : ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৮ পড়া হয়েছে

 

মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিনিধিঃ

উন্মাদ ফ্যাসিবাদ চর্চা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী মূল ধারার গণমাধ্যমের একাধিক সাংবাদিক পরিবার সহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মানুষের বসবাস চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়াস্থ রসুলবাগ আবাসিক এলাকার ৩২০৮/এ একোর্ড গ্রীণ ভিলেজ ভবনে। বায়তুল মামুর জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের পাশে বয়ে চলা চল সড়কের শেষ সীমানায় অবস্থিত এই ভবনের প্রবেশ মুখে খোলা রাস্তায় প্রতিনিয়ত মহল্লার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ভ্যান গাড়িতে করে ফেলা হচ্ছে সমস্ত রসুলবাগ আবাসিক এলাকার আবর্জনা। এই আবর্জনার স্তুপ প্রতিনিয়ত ভরপুর হয়ে যায় ভবনের বাসিন্দাদের একমাত্র চলাচলের পথটি। এ যেন মহল্লার উদ্যোগে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টির বিশাল এক আয়োজন চলছে বছরের পর বছর, মাসের পর মাস। একোর্ড ভবনের ৫৪ টি ফ্ল্যাট এর মানুষদের এসব আবর্জনার উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হয় , বায়বীয় দূষিত ব্যাকটেরিয়ায় ঘেরা ভবনের সম্মুখে অবস্থিত খালপাড়ের এ পথটি ধরে। ওযু করে ৫ ওয়াক্ত নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মুসল্লিরা যেন জিম্মি দশায় মসজিদে সালাত আদায়ে যেতে হয়। অন্যদিকে ভয়াবহ এই আবর্জনার স্তূপে হতে সৃষ্ট দুর্গন্ধে একদিকে যেমন চলাচলের গোটা পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে, অন্যদিকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের মধ্যে বসবাস কারি বয়োজ্যেষ্ঠ, যুবক, শিশু কিশোর, নারী সহ প্রতিটি মানুষকে ফেলছে ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এই পথ দিয়েই যেতে হয় স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায়।
বিগত সরকারের কমিশনারের সময় হতেই এই স্থানটি পরিবেশগত বৈষম্যের স্বীকার। স্থানীয়রা বৈষম্য সংস্কার এর উদ্যোগ হিসেবে ময়লা আবর্জনা বহনকারী ভ্যান গুলোকে নির্ধারিত ডাস্টবিনমুখী করে অভিশপ্ত আবর্জনা হতে চলাচলের পথকে মুক্ত করার উদ্যোগ হিসেবে সুনির্দিষ্ট সংস্কার চায়। ১৭ বছর পরেও এই স্থানটিতে বসবাস কারীরা পাচ্ছেন না পরিবর্তিত পরিবেশের স্বাদ। এছাড়া আবর্জনার স্তূপ এর পার্শ্ববর্তী রয়েছে শিশু কবরস্থান। এখানেও কবর বাসীদের কবর জেয়ারতের সুযোগটি বিঘ্নিত হয়। নগরীর আরেক মরণ ব্যাধি ডেঙ্গু। এই স্থানে অত্যধিক মশার উপদ্রব এবং ডেঙ্গু মশার নিরাপদ আবাসস্থল এ পরিণত হতে আবর্জনা ভরপুর খালের পাশে অবস্থিত স্থানটি । এতটা অমানবিক কৃত্রিম সৃষ্ট আবর্জনাময় পরিবেশ কখনোই সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ মেনে নিবে না। কাজেই জনজীবন অতিষ্ঠকর এই আবর্জনাময় চলাচলের পথটির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীকে ক্লিন সিটি গ্রীণ সিটি নির্মানের উদ্যোক্তা মাননীয় মেয়র মহোদয়ের সুদৃষ্টি, হস্তক্ষেপ এবং আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোড়ালো আবেদন রেখেছেন গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি তারা মানুষের নুন্যতম মর্যাদাবোধ আশা করছেন। তারা মনে করছেন মহল্লায় সিটি কর্পোরেশন লিখিত নির্দেশনা আসলেই নিশ্চয়ই দূরবর্তী নির্ধারিত ডাস্টবিনে ভ্যানের মাধ্যমে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন দায়িত্ব প্রাপ্ত মহল্লার সদস্যগণ।

জনপ্রিয়

রাজশাহীতে ফেরিঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ!

আবর্জনাময় পথেই চলতে হচ্ছে রসুলবাগ একোর্ড ভবনের বাসিন্দাদের

প্রকাশের সময় : ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

 

মোঃ শহিদুল ইসলাম
বিশেষ প্রতিনিধিঃ

উন্মাদ ফ্যাসিবাদ চর্চা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী মূল ধারার গণমাধ্যমের একাধিক সাংবাদিক পরিবার সহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরত মানুষের বসবাস চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়াস্থ রসুলবাগ আবাসিক এলাকার ৩২০৮/এ একোর্ড গ্রীণ ভিলেজ ভবনে। বায়তুল মামুর জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের পাশে বয়ে চলা চল সড়কের শেষ সীমানায় অবস্থিত এই ভবনের প্রবেশ মুখে খোলা রাস্তায় প্রতিনিয়ত মহল্লার পরিচ্ছন্ন কর্মীদের ভ্যান গাড়িতে করে ফেলা হচ্ছে সমস্ত রসুলবাগ আবাসিক এলাকার আবর্জনা। এই আবর্জনার স্তুপ প্রতিনিয়ত ভরপুর হয়ে যায় ভবনের বাসিন্দাদের একমাত্র চলাচলের পথটি। এ যেন মহল্লার উদ্যোগে স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টির বিশাল এক আয়োজন চলছে বছরের পর বছর, মাসের পর মাস। একোর্ড ভবনের ৫৪ টি ফ্ল্যাট এর মানুষদের এসব আবর্জনার উপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করতে হয় , বায়বীয় দূষিত ব্যাকটেরিয়ায় ঘেরা ভবনের সম্মুখে অবস্থিত খালপাড়ের এ পথটি ধরে। ওযু করে ৫ ওয়াক্ত নামাজের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মুসল্লিরা যেন জিম্মি দশায় মসজিদে সালাত আদায়ে যেতে হয়। অন্যদিকে ভয়াবহ এই আবর্জনার স্তূপে হতে সৃষ্ট দুর্গন্ধে একদিকে যেমন চলাচলের গোটা পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে, অন্যদিকে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের মধ্যে বসবাস কারি বয়োজ্যেষ্ঠ, যুবক, শিশু কিশোর, নারী সহ প্রতিটি মানুষকে ফেলছে ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এই পথ দিয়েই যেতে হয় স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসায়।
বিগত সরকারের কমিশনারের সময় হতেই এই স্থানটি পরিবেশগত বৈষম্যের স্বীকার। স্থানীয়রা বৈষম্য সংস্কার এর উদ্যোগ হিসেবে ময়লা আবর্জনা বহনকারী ভ্যান গুলোকে নির্ধারিত ডাস্টবিনমুখী করে অভিশপ্ত আবর্জনা হতে চলাচলের পথকে মুক্ত করার উদ্যোগ হিসেবে সুনির্দিষ্ট সংস্কার চায়। ১৭ বছর পরেও এই স্থানটিতে বসবাস কারীরা পাচ্ছেন না পরিবর্তিত পরিবেশের স্বাদ। এছাড়া আবর্জনার স্তূপ এর পার্শ্ববর্তী রয়েছে শিশু কবরস্থান। এখানেও কবর বাসীদের কবর জেয়ারতের সুযোগটি বিঘ্নিত হয়। নগরীর আরেক মরণ ব্যাধি ডেঙ্গু। এই স্থানে অত্যধিক মশার উপদ্রব এবং ডেঙ্গু মশার নিরাপদ আবাসস্থল এ পরিণত হতে আবর্জনা ভরপুর খালের পাশে অবস্থিত স্থানটি । এতটা অমানবিক কৃত্রিম সৃষ্ট আবর্জনাময় পরিবেশ কখনোই সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ মেনে নিবে না। কাজেই জনজীবন অতিষ্ঠকর এই আবর্জনাময় চলাচলের পথটির উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চট্টগ্রাম নগরীকে ক্লিন সিটি গ্রীণ সিটি নির্মানের উদ্যোক্তা মাননীয় মেয়র মহোদয়ের সুদৃষ্টি, হস্তক্ষেপ এবং আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোড়ালো আবেদন রেখেছেন গণমাধ্যমের মধ্য দিয়ে। পাশাপাশি তারা মানুষের নুন্যতম মর্যাদাবোধ আশা করছেন। তারা মনে করছেন মহল্লায় সিটি কর্পোরেশন লিখিত নির্দেশনা আসলেই নিশ্চয়ই দূরবর্তী নির্ধারিত ডাস্টবিনে ভ্যানের মাধ্যমে ময়লা ফেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন দায়িত্ব প্রাপ্ত মহল্লার সদস্যগণ।