তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ জাকির হোসেন-টুটুল।
রাজশাহীর তানোরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন, উপজেলা কৃষক দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে মতবিরোধ ও কোন্দলের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষক দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নাজুক ও স্থবির হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ কৃষক দলের আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে এই অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক দলের আদর্শিক, পরিক্ষিত, প্রবীণ, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা অমানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ছেন।
অনেকে নিজের আত্মসম্মান নিয়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ড থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছে। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে তাদের সাংগঠনিক কর্মকান্ড।
অধিকাংশক্ষেত্রে কৃষক দলের আহবায়ক কমিটি গঠনে আদর্শিক, প্রবীণ, পরিক্ষিত ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে সুবিধাবাদীদের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।এতেকরে মাঠপর্যায়ে সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে চরম অসন্তোষ।
দেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে এভাবে কমিটি করায় বিএনপির ভোট ব্যাংকেও আঘাত লেগেছে।
উপজেলার ৫নং তালন্দ ইউনিয়নের (ইউপি) ৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি, সাজ্জাদ দেওয়ান ওরফে (সাজা) বলেন, একটা সময় আওয়ামী লীগের যারা সক্রীয় কর্মী ছিলো অথবা যাদের রাজনৈতিক জীবনটাই পালা বদলের। আহবায়ক কমিটিতে এমন বিতর্কিত, সুযোগসন্ধানী ওগ্রহণযোগ্যহীনদের স্থান হলেও ছিটকে পড়েছে দুর্দীনের ত্যাগী নেতারা।জুলাই বিপ্লবের পর রাতারাতি খোলস পাল্টিয়ে বিভিন্ন লাভজনক পদ বাগিয়ে নিচ্ছেন অনুপ্রবেশকারীরা।এসব হাইব্রিডদের নিয়ে বিব্রত ও বিক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মীসহ জনসাধারণ।
তৃণমূলের অভিযোগ, কৃষক দলের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নিবেদিতপ্রাণ নেতাকর্মীরা কোনঠাসা ও বঞ্চিত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে চলছে। অথচ জনবিচ্ছিন্ন , বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীরা বিভিন্ন লাভজনক পদ বাগিয়ে নিয়ে ফুরফুরে হয়ে ঘুরছে। এসব কারণে ভেঙে পড়েছে চেইন অব কমান্ড, বিরাজ করছে” (হ-য-ব-র-ল) অবস্থা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষক দলের আহবায়ক, নাসির উদ্দিন (মিঠু) এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সকল নিয়ম অনুসরণ করে আহবায়ক কমিটি দেয়া শুরু হয়েছে।