মোঃ ইকরামুল হক রাজিব
বিশেষ প্রতিনিধি
আজ বুধবার (১১ ই জুন) বিকাল ৫ টায় বাগেরহাটের মোংলার দিগরাজ বাজার পাম্প সংলগ্ন স্থান এ রামপাল – মোংলার হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট এর উদ্যোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট রামপাল মোংলা শাখার আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু বৈদ্য খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট মোংলা পৌর সভাপতি শম্ভু কুন্ডুর সভাপতিত্বে ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট মোংলা উপজেলা সদস্য সচিব অলক হালদার এর সঞ্চালনায় এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন এর ডাইরেক্টর ও আরাফাত রহমান কোকো কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামীম বলেন শেখ হাসিনার হাতে শুধু রক্ত আর রক্ত। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের অধিকার আছে এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি, সব সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করছে। এই ঐক্যকে ধরে রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সব সম্প্রদায়ের লোকজন আজ নিজেদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে রয়েছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় অর্জন।
১৭ বছর দলীয় নেতা কর্মীরা শিমাহীন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,আমরা ন্যায় ও সত্যের পক্ষে রয়েছি। অন্তবর্তী সরকারের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ দ্রুত সংস্কার করে অবাধ নিরপেক্ষ সুষ্ঠু একটা নির্বাচন দেওয়ার আহবান জানান।
কৃষিবিদ শামীম আরো বলেন I
আমরা দীর্ঘদিন ধরেই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়েছি। খুনি হাসিনা নির্বাচনব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেলেছে। জনগণের ভোটাধিকার থেকে শুরু করে সব সাংবিধানিক অধিকার হরণ করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মামলা, নিপীড়ন, নির্যাতনের মাধ্যমে অবৈধ ক্ষমতাসীনরা দেশে অরাজকতার রাজত্ব কায়েম করেছিল। পাশাপাশি লুটপাট-দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। এজন্যই আমরা দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ভোটের ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে এবং জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার, মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে জোর দাবি নিয়ে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। অগণিত বার কারা বরণ করেছি , বছরের উপর বছর জেলের অন্ধকার কুটিরে আমার জীবনের যৌবন কাটিয়েছি , সীমাহীন নির্যাতনের শিকার হয়েছি।রাজপথ থেকে এক চুল পরিমাণ ও পিছিয়ে যায়নি,
অবশেষে খুনি হাসিনা গণহত্যা করে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
এদেশের কোটি কোটি গণমানুষের দল বিএনপি, কোটি কোটি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন তারেক রহমান। এদেশের সব থেকে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া , শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন শ্রমিক বেগম খালেদা জিয়া নিজেও বলেছিলেন আমি একজন শ্রমিকের স্ত্রী ,অচিরেই জননন্দিত নেতা তারেক রহমান বাংলাদেশে বীরের বেশে আসবেন। এদেশের সাধারণ মানুষ বৈষম্যের শিকার ছিল-আমরা সমাজে আর কোথাও বৈষম্য দেখতে চাইনা। হাসিনা সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে রাষ্ট্রীয় ভাতা ভোগ করিয়েছে। আমরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন চাই এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বাদ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানাই। আমাদের কোমলমতি ছাত্রদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। সবাই মিলেমিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাষ্ট্র গঠনে কাজ করতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ তারেক রহমানের হাতে নিরাপদ। হিন্দু ভাইদের যদি কেউ নির্যাতন করে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গত ১৭ বছর আমাদের অসংখ্য নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গোটা বাগেরহাটে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। ২৪শের আন্দোলনে ছাত্রদের ত্যাগ ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছে। আগামীতে তারেক রহমান একটি ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত ও একটি বৈষম্যহীন সমাজ আমাদের উপহার দিবেন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের সাথে জনকল্যাণের স্বার্থে আমাদেরকে কাজ করতে হবে ।
উক্ত সভাই বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকেন I
এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, আহবায়ক বাগেরহাট জেলা বিএনপি ,
জনাব শেখ মুজিবুর রহমান
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপি ,
জনাব এ্যাড ওয়াহিদুজ্জামান দিপু
সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটি বিএনপি ,
খান জুলফিকার আলী,
সাবেক মেয়র, মংলা পৌর শাখা ,
শেখ হাফিজুর রহমান তুহিন
আহবায়ক, রামপাল উপজেলা বিএনপি ,
আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান হাওলাদার
সভাপতি মংলা উপজেলা বিএনপি ,
আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার
যুগ্ম আহবায়ক, রামপাল উপজেলা বিএনপি
আরো বক্তব্য রাখবেন রামপাল ও মোংলা উপজেলা বিএনপি সহ স্থানীয় গণ্যমান্য নেতৃত্ববৃন্দ ।