, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ভাঙ্গায় এস.এস.সি পরীক্ষার্থীর  আত্মহত্যা কুয়েতে বর্ণিল আয়োজনে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উদযাপন শ্যামগাতি গাবগাছি হিন্দু পাড়ার রাস্তাটি জনগণের চলাচলের জন্য একটি মরণ ফাঁদ জয়দেবপুর থানায় অর্থের বিনিময়ে মিথ্যা তথ্যে ধর্ষণ মামলা নেয়ার অভিযোগে ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেল রাজশাহীতে ফেরিঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ! গাজীপুরে জোরপূর্বক গাছ কর্তন ও বিক্রির অভিযোগ। ফরিদপুরে ভুয়া মেজর ভুয়া পরিচয় দানকারী সেনাবাহিনী কর্তৃক আটক মহাদেবপুরে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ অবৈধ মজুদদারদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থার হুশিয়ারী-ইউএনও’র ভাঙ্গায় কন্যাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ প্রবাসী বাবা ও চাচার বিরুদ্ধে, চট্টগ্রাম জেলা আইজীবি সমিতির সাধারন আইনজীবিদের ভোটা অধিকার হরণের প্রতিবাদে কালো মাক্স পরিধান করে নিরব প্রতিবাদ

রাজশাহীতে ফেরিঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ!

  • প্রকাশের সময় : ২২ ঘন্টা আগে
  • ২০ পড়া হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক;

রাজশাহী জেলা পরিষদের অধীনস্ত গোদাগাড়ী উপজেলার (৪) চার টি ফেরিঘাট ইজারার মধ্যে (২) দুই টি ফেরিঘাট নাম মাত্র মূল্যে ১- (এক) মাসের জন্য ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এতে সরকার প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, রেজা হাসান ও পরিষদের সার্ভেয়ার আলিফ এর কারসাজির মাধ্যমে গোদাগাড়ীর ফুলতলা ভাটোপাড়া ও বড়গাছি- পেটাও-বিদিরপুর ফেরিঘাট (২) দুই টি পছন্দের ইজারাদারদের এক মাসের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, বড়গাছি-পেটাও – বিদিরপুর ফেরিঘাট টি এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় লিমন নামের একজন ইজারাদারকে এবং ফুলতলা ভাটোপাড়া ফেরিঘাট টি ৫৫ হাজার টাকায় আইনুল নামের একজন ইজারাদারকে (১) এক মাসের জন্য ইজারা দেওয়া হয়।

২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পরিষদ (৪) চারটি ফেরিঘাট ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, ১৪৩২ সনের ১লা বৈশাখ থেকে ৩০শে চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য ফেরিঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
ঘাটগুলোর সরকারি ইজারা মূল্য ছিল: বড়গাছি-পেটাও- বিদিরপুর: ৮২,৬১,০০০ টাকা।আর ফুলতলা ভাটোপাড়া: ৬৬,১১,০০০ টাকা। প্রেমতলী: ৫,৮৩,০০০ টাকা ও
গাবতলী (পবা উপজেলা): ১১,৮৮,৭৮৩ টাকা।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও সিডিউল ক্রয়ের তেমন সাড়া না পেয়ে জেলা পরিষদ ঘাটগুলো মাসিক খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ বা পূর্বের ইজারাদারদের অবহিত না করেই, ফুলতলা ভাটোপাড়া ও বড়গাছি-পেটাও- বিদিরপুর ঘাট (২) দুইটি এক মাসের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়।

এছাড়া আরও অভিযোগ রয়েছে, আন্তঃজেলা ফেরিঘাট যেমন ভগবন্তপুর এক মাসের জন্য ৬ লাখ টাকায় এবং সুলতানগঞ্জ ঘাট ২৬ লাখ টাকার ডাকের পরিবর্তে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। একজন ইজারাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ফুলতলা ভাটোপাড়া ঘাট প্রতিবছর প্রায় ৬৫ লাখ ও বিদিরপুর ঘাট ৭৫ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। অথচ এই দুইটি ঘাট মাত্র ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যেমন বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনি সরকার রাজস্ব হারিয়েছে লক্ষাধিক টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, জেলা পরিষদের এক কর্মচারী বলেন, প্রধান সহকারী আব্দুল মতিন এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, আওয়ামী মতাদর্শী এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম করে আসছে, তিনি বলেন, সরেজমিন অনুসন্ধান করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অ:দা:) আলেফ আলী জানান, “ঘাটগুলোর ইজারা ওপেন ডাকের মাধ্যমে হয়েছে, যেখানে সবাই অংশ নিতে পারে। পুরাতন ইজারাদার সহ, প্রায় ৫০ জন ইজারাদার ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে ডাক হয়েছে। আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। তবে, কম মূল্যে ঘাট ইজারা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি ঘাটের ফাইল দেখি না, এটি দেখেন প্রধান সহকারী আব্দুল মতিন। আমি নিজেও মনে করি, এই ঘাটগুলোর প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি হওয়া উচিত। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও” তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।

জনপ্রিয়

ভাঙ্গায় এস.এস.সি পরীক্ষার্থীর  আত্মহত্যা

রাজশাহীতে ফেরিঘাট ইজারায় অনিয়মের অভিযোগ!

প্রকাশের সময় : ২২ ঘন্টা আগে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক;

রাজশাহী জেলা পরিষদের অধীনস্ত গোদাগাড়ী উপজেলার (৪) চার টি ফেরিঘাট ইজারার মধ্যে (২) দুই টি ফেরিঘাট নাম মাত্র মূল্যে ১- (এক) মাসের জন্য ইজারা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এতে সরকার প্রায় ১০ লাখ টাকার রাজস্ব লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা, রেজা হাসান ও পরিষদের সার্ভেয়ার আলিফ এর কারসাজির মাধ্যমে গোদাগাড়ীর ফুলতলা ভাটোপাড়া ও বড়গাছি- পেটাও-বিদিরপুর ফেরিঘাট (২) দুই টি পছন্দের ইজারাদারদের এক মাসের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, বড়গাছি-পেটাও – বিদিরপুর ফেরিঘাট টি এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় লিমন নামের একজন ইজারাদারকে এবং ফুলতলা ভাটোপাড়া ফেরিঘাট টি ৫৫ হাজার টাকায় আইনুল নামের একজন ইজারাদারকে (১) এক মাসের জন্য ইজারা দেওয়া হয়।

২০২৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী জেলা পরিষদ (৪) চারটি ফেরিঘাট ইজারার জন্য দরপত্র আহ্বান করে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ ছিল, ১৪৩২ সনের ১লা বৈশাখ থেকে ৩০শে চৈত্র পর্যন্ত এক বছরের জন্য ফেরিঘাটগুলো ইজারা দেওয়া হবে।
ঘাটগুলোর সরকারি ইজারা মূল্য ছিল: বড়গাছি-পেটাও- বিদিরপুর: ৮২,৬১,০০০ টাকা।আর ফুলতলা ভাটোপাড়া: ৬৬,১১,০০০ টাকা। প্রেমতলী: ৫,৮৩,০০০ টাকা ও
গাবতলী (পবা উপজেলা): ১১,৮৮,৭৮৩ টাকা।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও সিডিউল ক্রয়ের তেমন সাড়া না পেয়ে জেলা পরিষদ ঘাটগুলো মাসিক খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কোনো ধরনের নোটিশ বা পূর্বের ইজারাদারদের অবহিত না করেই, ফুলতলা ভাটোপাড়া ও বড়গাছি-পেটাও- বিদিরপুর ঘাট (২) দুইটি এক মাসের জন্য নামমাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়।

এছাড়া আরও অভিযোগ রয়েছে, আন্তঃজেলা ফেরিঘাট যেমন ভগবন্তপুর এক মাসের জন্য ৬ লাখ টাকায় এবং সুলতানগঞ্জ ঘাট ২৬ লাখ টাকার ডাকের পরিবর্তে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়। একজন ইজারাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ফুলতলা ভাটোপাড়া ঘাট প্রতিবছর প্রায় ৬৫ লাখ ও বিদিরপুর ঘাট ৭৫ লাখ টাকায় ইজারা দেওয়া হয়ে থাকে। অথচ এই দুইটি ঘাট মাত্র ২ লাখ ১৫ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হয়েছে। এতে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা যেমন বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনি সরকার রাজস্ব হারিয়েছে লক্ষাধিক টাকা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, জেলা পরিষদের এক কর্মচারী বলেন, প্রধান সহকারী আব্দুল মতিন এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, আওয়ামী মতাদর্শী এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন ধরে এসব অনিয়ম করে আসছে, তিনি বলেন, সরেজমিন অনুসন্ধান করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী (অ:দা:) আলেফ আলী জানান, “ঘাটগুলোর ইজারা ওপেন ডাকের মাধ্যমে হয়েছে, যেখানে সবাই অংশ নিতে পারে। পুরাতন ইজারাদার সহ, প্রায় ৫০ জন ইজারাদার ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে ডাক হয়েছে। আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। তবে, কম মূল্যে ঘাট ইজারা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি ঘাটের ফাইল দেখি না, এটি দেখেন প্রধান সহকারী আব্দুল মতিন। আমি নিজেও মনে করি, এই ঘাটগুলোর প্রকৃত মূল্য অনেক বেশি হওয়া উচিত। বিষয়টি তদন্ত হওয়া দরকার।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা রেজা হাসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও” তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।