মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:২১ অপরাহ্ন
হেডলাইন :
ভেড়ামারায় বিএনপির ৩১ দফা শীর্ষক আলোচনা সভা বদলগাছীতে হাঁস মারাকে কেন্দ্র  সংঘর্ষ; আহত লতিফ ড্রাইভারের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ তানোরে ৫৮টি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন বিএনপি নেতা সুলতানুল ইসলাম তারেক   জনবল সংকটে ভোগান্তিতে সালথার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা শ্রীপুরে দুর্গাপূজায় তারেক রহমানের উপহার সামগ্রী বিতরণ জনবল সংকটে ভোগান্তিতে সালথার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা নাতনিকে মাদ্রাসায় দিয়ে ফেরার পথে মটরবাইকের ধাক্কায় বৃদ্ধা নিহত দলীয়কর্মী হত্যার আসামি তানোরে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি, এমপি প্রার্থীর প্রতি ক্ষোভ অসন্তোষ ভাঙ্গায় একদিনে একাধিক দুর্ঘটনা ও সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত অন্তত ২০ তানোরে দলীয়কর্মী হত্যার আসামি বহিষ্কৃত নেতার পদে বহাল ও স্থানীয় বিএনপিতে ক্ষোভ
নোটিশ :
জরুরী নিয়োগ চলছে, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় প্রতিনিধি, জেলা,উপজেলা, স্টাফ রিপোর্টার, বিশেষ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি, ক্যাম্পাস ও বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি বা সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। যোগাযোগ০১৮১৯৪৫৯৫১২

জনবল সংকটে ভোগান্তিতে সালথার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা

Reporter Name / ১৩ Time View
Update : মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১২:২১ অপরাহ্ন

জনবল সংকটে ভোগান্তিতে সালথার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থ

 

সাইদ গাজী , স্টাফ রিপোর্টার,
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা থাকা স্বত্ত্বেও বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা। বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও বিদ্যালয়ে জনবল সংকটে নানা ভোগান্তিতে পড়ছে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি শক্ত করতে প্রথমেই জনবল সংকট নিরসনে অনুরোধ সবার।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা মোট ৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পদ রয়েছে ৪৮৫ টি, বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৪৩১ জন। এর মধ্যে ৬জন পিটিআই ট্রেনিংয়ে আছেন। আবার প্রায় সময়ই শিক্ষকগণ বিভিন্ন কারনে ছুটি নিয়ে থাকেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী থাকার দরকার হলেও রয়েছে মাত্র ৩৮ টি স্কুলে। অপরদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে একজন শিক্ষা অফিসার রয়েছে। ২০ টির মতো স্কুল পরিচালনায় একজন করে সহকারী শিক্ষা অফিসার থাকার কথা থাকলেও ৭৬ স্কুলের জন্য রয়েছে দুজন সহকারী শিক্ষা অফিসার। শিক্ষা অফিসে উচ্চমান সহকারী একজন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর একজন, হিসাব সহকারী একজন এবং অফিস সহায়ক একজন সহ মোট চারটি পদ থাকলেও মাত্র একজন দিয়েই চলছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

কয়েকজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতিটি স্কুলে শিক্ষক সংকট রয়েছে। পিটিআই ট্রেনিং, ছুটি ও পদ না থাকায় শিক্ষক সংকট তৈরি হয়। এরজন্য একজন শিক্ষককে অনেক কাজ করতে হয়। আবার বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী না থাকায় প্রতিটি স্কুল থাকে ঝুকিতে। অনেক সময় মালামাল চুরি হয়। স্কুলের তালা খোলা, ঝাড়ু দেওয়া সহ দপ্তরির সকল কাজ শিক্ষককে করতে হয়। তবে কিছু কাজে শিক্ষার্থীরা সাহায্য করে থাকে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট ও নৈশপ্রহরী না থাকা পদে পদে বিড়ম্বনায় পরে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

দাপ্তরিক কাজে শিক্ষা অফিসে গেলে সেখানেও দেখা যায় জনবল সংকট, চার জনের পরিবর্তে কাজ করছে একজন। NOC, GPF, বকেয়া বিল সহ নানাবিধ কাজে অফিসে গেলে বাইরের কম্পিউটার দোকানে যেতে বলা হয়, বাইরে সময় অপচয় ও বিভিন্ন রকম হয়রানির শিকার হন শিক্ষকরা। অনেক সময় অফিস সহকারী পছন্দের লোকের কাজ করেন বাকিদের ফিরিয়ে দেন, সেখানে শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা যায়, কাজের চাপে অফিস সহকারী মাঝে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। এছাড়াও শিক্ষকদের নিয়োগকৃত বিদ্যালয় যোগদান, বদলি পরবর্তী অনলাইন প্রতিস্থাপন, অনলাইন তথ্য সংশোধন সহ নানাবিধ কাজে জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে। দুজন এটিও এর জন্য ৩৮টি বিদ্যালয়ের কার্য পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে উঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী জানান, প্রতি সপ্তাহে একজন করে দপ্তরিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অফিস সহকারীর সব কাজ করতে হয়। উপজেলা সদর থেকে যাদের বাড়ি দুরে তাদের আশা যাওয়ায় রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট হয়। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসলে তা অনেক সময় নষ্ট হয়ে যায়, বাইরের খাবার খেলে খরচ বেশি হয়৷ তবে অফিস থেকে আমাদের অতিরিক্ত কোন টাকা দেয় না। অফিসে একজন মাত্র অফিস সহকারী, আমাদের সাথে অনেক সময় খারাপ ব্যবহার করেন। আমাদের শিক্ষা অফিসে জনবল বেশি হলে শিক্ষার মান আরও ভালো হবে, আমাদের জন্যেও ভালো হবে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, সালথা উপজেলার অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকায় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসে জনবল সংকটের কারণে মানসম্মত শিক্ষা বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. তাশেমউদ্দিন জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসে ৪টি পদের বিপরীতে মাত্র একজন কাজ করছে, তিনটি পদ শুরু থেকে শুন্য রয়েছে। এর ফলে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার প্রায়ই জটিলতায় পড়তে হয়। বেশিরভাগ বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী না থাকায় ল্যাপটপ, প্রজেক্টের, মটর, ফ্যান সহ বিভিন্ন মালামাল চুরি হচ্ছে। এই কারনে দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরী নিয়োগ দেওয়া খুবিই জরুরি।

জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মহিউদ্দিন বলেন, সারাদেশেই আমাদের জনবল সংকট রয়েছে। সার্কুলার হয়েছে, নিয়োগও হবে। নিয়োগ হলেই আমাদের জনবল সংকট নিরসন হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Theme Created By ThemesDealer.Com