সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অমৃত পুর গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র যাতা য়াতের রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে অবহেলায় পড়ে আছে।সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে কাঁচা রাস্তাটি ।দেখলে মনে হয়,যেন চাষের জমি! অথচ এ সড়কেই প্রতিনিয়ত হাজারো মানুষকে চলাচলা করতে হয়।সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান কাদা পানি মাড়িয়ে হাট-বাজার,স্কুল-কলেজ,মাদরাসা,অফিস,দোকান,ক্ষেত-খামার কিংবা হাসপাতালে যাতায়াতে হয় নানা অসুবিধা।প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাতায়াতকারী প্রায় ৫ গ্রামের হাজারো মানুষ।বর্ষা মৌসুমে এলাকাবাসীকে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু সমান কাদা পানি মাড়িয়ে চলতে হয়।গ্রামের গুরুত্বপুর্ণ একমাত্র এই রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযােগী হয়ে পড়েছে।দীর্ঘ সময় ধরে সংস্কারবিহীন থাকায় বর্তমানে এ সড়কের বেহাল দশা।এছাড়াও রাস্তাটি উচু না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তার উপর হাটুপানি জমে যায়।
দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে এলাকাবাসী সংষ্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও এখনো পর্যন্ত হয়নি কাঙ্খিত সংস্কার কাজ।এভাবে বছরের পর বছর অতিবাহিত হলেও সড়কটির বিষয়ে এখনো দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারী।বিগত সরকারের আমলে দেশে কাঁচা রাস্তা নেই বললেই চলে।এই সরকার উন্নয়নের রোল মডেল।ইতিমধ্যে দেশের অলিতে-গলিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে।কিন্তু এই একটিমাত্র মাটির সড়ক যেন অভিভাবকহীন! বর্ষা আসলেই অমৃত পুর এলাকার হাজারো মানুষের চলাচলে পড়তে হয় সীমাহীন দুর্ভোগে। রাস্তার অবস্থা দেখে মনে হয় যেন আদিম যুগে বসবাস করছেন অমৃত পুর গ্রামবাসী।সরে জামিনে গিয়ে দেখা যায়,গ্রামের হাজীর মোড় থেকে বিলবাতা শিহাবের বাড়ি যাওয়া পযন্ত প্রায় ১.৫কিলোমিটার এবং সাধুর হাট থেকে চন্দন কোঠা গ্রাম পযন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যর রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।এভাবে হাঁটু সমান কাদা নিয়ে মধ্যবয়সীরা বহু কষ্টে চলাচল করলেও বয়ো:বৃদ্ধ এবং শিশুরা চলাচলে পড়তে হয় নানান বিপাকে।কখনো কখনো ঘটছে নানান দুর্ঘটনা।এ পরিস্থিতি তে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের চরম ঝুঁকিতে যাতায়াত করতে হয়।বিকল্প রাস্তা না থাকায় দৈনিক এই সড়ক দিয়ে কৃষককে যেতে হচ্ছে ক্ষেত-খামারে,মুসল্লীদের যেতে হয় মসজিদে,হাট-বাজার এবং বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদের নানা কাজে রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়।এছাড়া বর্ষা মৌসুমে আত্মীয়-স্বজনরা প্রয়োজন হলেও আসতে চান না এই অমৃত পুর এলাকায়।জনবহুল বসত-বাড়ি থাকায় বিভিন্ন বয়সের মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে অতিরিক্ত কাদার কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন এলাকার হাজারো মানুষ।এখনো রোগীকে আদিম যুগের মতো খাট দিয়ে কাঁধে বহন করে হাসপাতালে নেয়া হয়!স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষার্থীরা জুতা হাতে নিয়ে চলাচল করতে হয়!এদিকে দীর্ঘ কয়েক যুগ পার হলেও রাস্তার সংস্কার কাজ না করায় জন প্রতিনিধিদেরউদাসীনতা আর অবহেলাকে দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।জনপ্রতি নিধিদের কাছ থেকে বারবার আশ্বাস পেলেও কাজ হয়নি কখনো।অমৃত পুর গ্রামের মামুনুর রশিদ বলেন,এই রাস্তাটা আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে আছে।সবাই মিলে একাধিক বার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার,প্রশাসন,উপজেলা চেয়ারম্যান সহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য দাবি জানিয়েছেন।কিন্তু কেউ কোনো কাজ করেননি।তাই ভোগান্তি নিয়েই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।