সাইদ গাজী,স্টাফ রিপোর্টার,
আওয়ামী ফ্যাসিবাদ রুখতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: শামা ওবায়েদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, গত ১৫ বছরে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী খুন গুম হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই শেখ হাসিনার আয়নাঘর ফেরত আসতে পারে নাই। এদেশের মাটিতে আর যেন আয়নাঘরের সৃষ্টি না হয়। এই প্রত্যয় নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই। অনেকেই দেশকে ভালোবেসে ঢাকায় গিয়েছিল আন্দোলন করতে। অনেকেই আহত হয়ে বাড়িতে বসে কাতরাচ্ছে। আমি তাদের স্মরণ করি, পুলিশের গুলি খেয়েও সামনে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশের নামে। এখন সময় সকল ভেদাভেদ ভুলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ৫ আগষ্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগষ্ট) ফরিদপুরের সালথার বাইপাস সড়কে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশ শেষে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে বিজয় র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বাইপাস সড়ক থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাইপাস সড়কে গিয়ে শেষ হয়।
শামা ওবায়েদ আরও বলেন, এখনও আওয়ামী দোসররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়, তারা বাংলাদেশকে ষড়যন্ত্রের মুখে ঠেলে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। আজকে তাদের রুখে দিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজ আমরা প্রতিজ্ঞা করি, আমাদের ভাইয়েরা যে রক্ত দিয়েছে তা বৃথা যেতে দিবো না। আপনারা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না, সকলেই মিলে মিশে থাকবেন। আপনারা বিভেদ সৃষ্টি করলে সুবিধা পাবে আওয়ামীলীগ। বিগত দিনে আপনারা ভোট দিতে পারেন নাই। আগামী নির্বাচনে আপনারা যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিয়ে আপনাদের দল আপনাদের নেতা নির্বাচন করবেন। সেই দল একটি সচ্ছ রাষ্ট্র গঠন করবে, একটি সচ্ছ সংসদ গঠন করবে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদারের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী এটর্নি জেনারেল মো. জুয়েল মুন্সি (সুমন), সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মো. আসাদ মাতুব্বর, উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি শাহিন মাতুব্বর, হুমায়ুন খান, বিএনপি নেতা রাশেদ মাতুব্বর, যুবদল নেতা হাসান আশরাফ, এনায়েত হোসেন প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান টি সঞ্চালনা করেন, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ।