বিশেষ প্রতিনিধি
গাজীপুর-৩: স্বপ্ন আর প্রত্যাশার মাটিতে নতুন আলো
বাংলাদেশের রাজনীতির মানচিত্রে গাজীপুর-৩ আসন (শ্রীপুর উপজেলা ও সদর উপজেলার তিন ইউনিয়ন) একসময় পরিচিত ছিল ঐতিহ্য, সম্ভাবনা আর প্রাণচাঞ্চল্যের আঁতুড়ঘর হিসেবে। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় রাজনৈতিক অস্থিরতা, বৈষম্য ও উন্নয়নের বঞ্চনা এই জনপদকে পিছিয়ে দিয়েছে অনেকখানি।
আজ যখন দেশব্যাপী নির্বাচনকেন্দ্রিক উত্তাপ, তখন এই আসনের মানুষ নতুন করে জেগে উঠেছে। তারা চায় না আর স্লোগাননির্ভর রাজনীতি। তারা খুঁজছে এমন নেতৃত্ব, যিনি মানুষের দুঃখ-বেদনা বুঝবেন, মাঠে থাকবেন, সংকটে পাশে দাঁড়াবেন। সেই নেতৃত্বের প্রতিচ্ছবি হিসেবেই উঠে এসেছেন এস. এম. মিল্টন সরকার।
শৈশব থেকে পথচলা: রাজনীতি মানেই দায়বদ্ধতা, ১৯৮৭ সালে স্কুলজীবনেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ধাপে ধাপে ছাত্রদলের ইউনিয়ন, কলেজ, থানা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু তার রাজনীতি কখনো শুধু পদমর্যাদার মধ্যে আটকে থাকেনি।
> তার ঘনিষ্ঠরা বলেন-মিল্টন ভাইয়ের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ। তিনি রাজনীতিকে কখনো চাকচিক্যের বিষয় ভাবেননি। মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে হাসিমুখে পাশে দাঁড়ানোই তার প্রকৃত পরিচয়।
দেশের সীমান্ত ছাড়িয়ে ইউরোপেও নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। প্রবাসীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন যুবদলের শক্তিশালী কাঠামো, রাজনৈতিক কূটনীতিতে রেখেছেন স্বাক্ষর। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আস্থা অর্জন করে আজ তিনি যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।
কিন্তু বড় পরিচয় হলো-বিদেশে থেকেও গাজীপুর-৩ ছিল তার হৃদয়ের ঠিকানা। সুযোগ পেলেই দেশে ফিরে ছুটে গেছেন এলাকার মানুষের পাশে।
কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে যখন চারদিকে আতঙ্ক, তখন নীরবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুধু খাদ্য বা ওষুধ বিতরণ নয়, মানুষের মানসিক শক্তি জোগানো, অসুস্থদের চিকিৎসা করানো থেকে শুরু করে লকডাউনে আটকে পড়া অসহায় শ্রমিকদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন তিনি।
মিল্টন সরকার কে আমরা শুধু নেতা বলি না, তিনি আমাদের পরিবারের মানুষ, এমনই মন্তব্য শ্রীপুরের অনেক সাধারণ মানুষের।
মিল্টন সরকারের ভাষায়- রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতার আসন নয়। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতাই রাজনীতির মূল দর্শন। জনগণ যখন আমাকে তাদের প্রতিনিধি বানাবে, আমি তাদের সেবক হিসেবেই কাজ করব।
তার পরিকল্পনায় গাজীপুর-৩ হবে অংশগ্রহণমূলক, স্বনির্ভর ও ন্যায়ভিত্তিক একটি সমাজ।
বেকার সমস্যা সমাধান: তরুণদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ ও উদ্যোক্তা সহায়তা
তরুণ প্রজন্মের ক্ষমতায়ন: নতুন নেতৃত্ব তৈরিতে সুযোগ সৃষ্টি
নারীর অগ্রগতি: শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ
পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন: শিল্পাঞ্চলের দূষণ রোধ ও সবুজ উন্নয়ন পরিকল্পনা
দুর্নীতিমুক্ত সমাজ: শোষণ ও বৈষম্যহীন গাজীপুর গড়ে তোলা
গাজীপুর-৩ এর গ্রামীণ জনপদে গেলে এখন একটি কথাই শোনা যায়-আমরা শুধু প্রার্থী বেছে নেব না, আমরা ভবিষ্যৎ বেছে নেব।
একজন কৃষক বলেন, রাজনীতিবিদ অনেক দেখেছি। তারা ভোটের আগে আসে, পরে ভুলে যায়। কিন্তু মিল্টন সরকার ভাই এমন একজন, যাকে আমরা দুঃসময়ে পেয়েছি। তাই তাকে ভোট দেওয়ার মানে হলো নিজের আস্থাকে ভোট দেওয়া।
মিল্টন সরকারের কল্পনায় গাজীপুর-৩ হবে এমন একটি জনপদ যেখানে—
*কৃষক তার ন্যায্যমূল্য পাবে
*শ্রমিক মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপন করবে
*তরুণরা হবে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের চালিকাশক্তি
*নারীরা হবেন উন্নয়নের সমান অংশীদার
প্রতিটি নাগরিক ধর্ম-বর্ণ-দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে সমান মর্যাদা ভোগ করবে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন পরিবর্তনের হাওয়া বইছে, মানুষ তখন স্লোগান নয়, বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্ব খুঁজছে। গাজীপুর-৩ আসনের মানুষ মনে করছেন, তারা সেই নেতৃত্ব পেয়েছেন এস. এম. মিল্টন সরকার-এর মধ্যে।
তাদের প্রত্যাশা এবার শুধু একজন প্রার্থী নয়, একটি দৃষ্টিভঙ্গি-রাজনীতি মানে সেবা, রাজনীতি মানে দায়বদ্ধতা।