শ্রীপুরে উপার্জনের শেষ সম্বল জমিটুকু দখল আতংকে দিনপাত করছে প্রবাস
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি-
দীর্ঘবছর প্রবাস জীবনে শরীরের রক্ত পানি করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে সামান্য জমি ক্রয় করেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা গ্রামের বাসিন্দা মো. তাজউদ্দীন। ভিটেমাটি রক্ষার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। শেষ সম্বল জমিটুকু দখল আতংকে দিনপাত করছেন প্রবাসী আলাউদ্দিন। যেকোনো সময় ভূমিদস্যরা শেষ সম্বল জমিটুকু দখল করে নিতে পারে। প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়েও ভয় কাটছে না। এই বুঝি সম্বলহীন হয়ে গেলেন। এই চিন্তায় দিনপাতি করে সময় কাটছে তার।
ভুক্তভোগী তাজউদ্দীন উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের তরমুজের পাড় এলাকার বাসিন্দা।
অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্য মো. ফারুক (৪৬), মালেক (৪৮), মো. ইদ্রিস আলী (৬০), আছমত আলী (৫৫), হাছেন আলী (৫৫) ও ছামেদ আলী (৫২)।
ভুক্তভোগী তাজউদ্দীন বলেন, দীর্ঘ তিন যুগের বেশী সময় প্রবাস জীবনে মানুষের বসতবাড়ির পায়খানা পরিস্কারসহ খুবই কষ্টের খাটুনি খেটে যে অর্থ উপার্জন করছি। সেই টাকা দিয়ে অল্প জমি ক্রয় করছি। ২০২৩ সালে জমি ক্রয় করার পর থেকে চিহ্নিত ভূমিদস্যরা আমার জমির ওপর লোভ পড়ে৷ আমার জমিটুকু স্থানীয় একটি কারখানার মালিকের কাছে বিক্রি করতে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে এর মাত্রা বেড়ে যায়। আমার জমিতে রোপণকৃত গাছগুলো কেটে নিচ্ছে। আমার জমিতে জোরপূর্বক মাটিবালি ফেলে ভরাটের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমার জমির কিছু অংশ ইতিমধ্যে ভরাট করে ফেলছে। দীর্ঘ সময় কষ্টের পর স্ত্রী সন্তান নিয়ে একটু সুখ শান্তিতে বাকি সময় কাটাবো বলে জমিটুকু ক্রয় করি। কিন্তু আজ সুখ হারিয়ে গেছে সবসময় দখল আতংকে দিনপাত করছি। কোটি টাকা মূল্যের জমি নামমাত্র মূল্যে ছেড়ে দিতে ভয়ভীতি হুমকি দিচ্ছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করছি। পুলিশ এসে তদন্ত করে যাওয়ার পর চাপ আরও বাড়ছে৷ যেকোনো সময় আমার শেষ সম্বল জমিটুকু বেদখল হয়ে যাওয়ার ভয়ে দিন কাটছে৷
অভিযুক্ত মো. ফারুক বলেন, জমিটুকু কারখানা ঘেঁষে রয়েছে। এজন্য তাকে বিক্রি করতে বলছি। কোন ধরনের চাপ দিচ্ছি না। তাছাড়া জমির কাগজপত্র সমস্যা রয়েছে। গাছপালা কে কেটে নিছে এবিষয়ে বলতে পারবো না।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করা হয়েছে। জমি জবরদখলের কোন সুযোগ নেই। এবিষয়ে কঠোর ভাবে অভিযুক্তদের বলা হয়েছে।