তানোরে আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি জবরদখ!
তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ জাকির হোসেন-টুটুল।
রাজশাহীর তানোর এর মুন্ডুমালা পৌরসভা এলাকায় আদালতের আদেশের তোয়াক্কা না করে জমি জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে, মুন্ডুমালা কামিল মাদরাসার নামে এই জমি জবরদখল করা হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর (শনিবার) সকালে মুন্ডুমালা হাটে এই ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। বইছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, তানোর উপজেলার জে এল নম্বর ৬৮, সাদিপুর মৌজায়, আরএস দাগ নম্বর ১৩৯, পরিমান ১৭ শতক জমি। স্থানীয়রা জানান, পৈতৃক সুত্রে ওই জমির মালিক প্রয়াত অধ্যাপক লুৎফর রহমান। তারা প্রায় ৫ দশক যাবত শান্তিপূর্ণভাবে এই জমি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্ত্ত ভুলক্রমে ‘(এলমে কেরাত হাফিজিয়া মাদরাসা)’ এর নামে রেকর্ড হয়েছে। তবে ওই নামে কোনো হাফেজিয়া মাদরাসা ছিলো না। এদিকে বিষয়টি জানার পর লুৎফর রহমান বাদি হয়ে সহকারী জজ আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেছেন। যাহার মামলা নম্বর ২৭৩/২০২১। আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে এবং আদালত ওই জমির ওপর ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
মুন্ডুমালা কামিল মাদরাসা রেকর্ড মুলে ওই জমির মালিকানা দাবি করছে, তবে তাদের নামে নয় রেকর্ড হয়েছে (এলমে কেরাত হাফেজিয়া মাদরাসার নামে)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এদিন সকালে মুন্ডুমালা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আমির উদ্দিন উপস্থিত থেকে মাদরাসার শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের নিয়ে ওই জায়গা জবরদখল করেছেন।
এ সময় সেখানকার দোকান ভাঙচুর করা হয়। এদিকে লুৎফর রহমানের পরিবারের সদস্যরা অবৈধ দখলদারদের বাধা দিতে গেলে তারা তাদের শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
এদিকে ইসরাফিল হোসেন বলেন, লুৎফর রহমানের কাছে থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে তিনি প্রায় ২০ বছর যাবত মুরগী ব্যবসা করে আসছেন। কিন্ত্ত হঠাৎ করেই কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ তার লোকজন নিয়ে দোকানপাট ভাঙচুর করে জমি জবরদখল করেছে। আব্দুর রহিম, শরিফ উদ্দিন, সুজিৎ ও উত্তম বলেন, তারা লুৎফর রহমানের কাছে থেকে জায়গা ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এখানে ব্যবসা করে আসছেন। তাহলে হঠাৎ করেই এই জায়গা মাদরাসার হয় কি ভাবে।
এবিষয়ে তারা আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।