ঝিনাইদহে অধিগ্রহণকৃত জমি দখলমুক্ত ও সড়কের ওপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। শনিবার সকালে শেখপাড়া–শৈলকূপা–লাঙ্গলবাধ (আর–৭১৬) সড়কের তমালতলা বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।অভিযানে নেতৃত্ব দেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (উপ-সচিব) মো. আশফাকুল হক চৌধুরী।সওজ সূত্রে জানা যায়, তমালতলা বাজার এলাকায় কালীগঙ্গা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ ও সড়ক প্রশস্তকরণের জন্য কিছু জমি অধিগ্রহণ করা হয়। অধিগ্রহণকৃত ওই জমিতে গড়ে ওঠা দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য সওজ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার নোটিশ প্রদান, মাইকিং এবং পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপরও যারা স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি, তাদের স্থাপনা উচ্ছেদে শনিবার অভিযান চালানো হয়।উচ্ছেদ অভিযান শেষে উদ্ধার করা মালামাল প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। মোট ৮ জন দরদাতার মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা মো. মাহবুবুর রহমান (মেম্বার) ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় এসব মালামাল ক্রয় করেন।অভিযানে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জিয়াউদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী ও স্টাফ অফিসার মো. আহসান-উল-কবীর, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) স্বজন ইসলাম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. হাসান আল মামুন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) রাকিব আহমেদ, সার্ভেয়ার মো. সোহেল রানাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও কর্মচারীরা।এ সময় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, পল্লী বিদ্যুৎ ও আনসার সদস্যরাও সহযোগিতা করেন।সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশফাকুল হক চৌধুরী বলেন, “শেখপাড়া–শৈলকূপা সড়কের তমালতলা ব্রিজের পাশে প্রায় ৩০ শতক জমিতে ২০টির মতো অবৈধ স্থাপনা ছিল, আজ সেগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। মোট ৩০ শতক জমি দখলমুক্ত করা হয়েছে। যারা এখনো অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরণ পাননি, তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তা পেয়ে যাবেন। জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।