রাকিবুল ইসলাম তুরান
ফরিদপুর
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) এর বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কার্যক্রমের প্রসার ঘটছে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে পরিচালিত নিয়মিত কীর্তন, ধর্মীয় আলোচনা, মানবসেবামূলক প্রকল্প ও খাদ্য বিতরণ এলাকার একটি অংশের মানুষকে আকর্ষণ করছে।
ইসকনের স্থানীয় সমন্বয়কারীদের দাবি, তাদের সকল কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হলো আধ্যাত্মিক চেতনার বিকাশ এবং নৈতিক মূল্যবোধ ও অহিংসার বার্তা প্রচার করা। তারা তাদের কাজকে শান্তি ও সম্প্রীতির প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করেন।
তবে এলাকার কিছু বাসিন্দা ও সামাজিক পর্যবেক্ষক এই কার্যক্রম প্রসারের পেছনে আদর্শিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার সম্ভাবনার প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। তাদের মতে, ধর্মীয় কার্যক্রমের আড়ালে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শ প্রচারের কৌশলগত প্রয়াস থাকতে পারে।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের একজন কলেজ শিক্ষক বলেন, “যেকোনো ধর্মীয় সংগঠনেরই তাদের বিশ্বাস ও আচার পালনের অধিকার রয়েছে। তবে আমাদের নজর রাখতে হবে, যেন কোনো গোষ্ঠীই ধর্মের আবরণে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐক্যকে ক্ষুণ্ণ না করে।”
ইসকন একটি বৈশ্বিক সংগঠন হিসেবে পরিচিত, যার কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়ও সংগঠনটির শাখা রয়েছে এবং তারা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে কাজ করে বলে জানা যায়।
স্থানীয় প্রশাসন একাধিক সূত্রে জানায়, ইসকনের বর্তমান কার্যক্রমগুলি আইনগতভাবে পরিচালিত হচ্ছে। তবে যেকোনো বিদেশি অর্থায়ন বা সংগঠনের কার্যকলাপ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠলে তা স্বাভাবিকভাবে তদন্ত ও নজরদারির আওতায় আসে।
সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত ধর্মীয় সম্প্রীতির পরিবেশকে সমুন্নত রাখতে যেকোনো ধর্মীয় গোষ্ঠীর কার্যক্রমই হতে হবে স্বচ্ছ এবং দেশের আইন ও সামাজিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা