সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার সময় প্রায় প্রতিটি হিন্দু বাড়িতে তৈরি হয় নাড়ু এবং নারকেলের তৈরি পিঠা। শুধু দুর্গাপূজার জন্যই নয়, এ সময় বাড়িতে আগত অতিথিদের আপ্যায়নেও নারিকেলের নাড়ু রাখতে হয়। দুর্গোৎসবে প্রায় প্রতিটি হিন্দু বাড়িতেই তৈরি হয় নাড়ু।এরই ধারাবাহিকতায় তানোরে আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বেড়েছে নারকেল ও গুড়ের কদর।সেই সঙ্গে বেড়েছে নারকেল ও গুড়ের দাম।জানা যায়,দুর্গা পূজা আসলেই নারকেলের দাম বেড়ে যায়,কারণ প্রতিটি দুর্গাপূজাতে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ ঝুনা নারকেল প্রয়োজন হয়। এছাড়া পূজাতে নাড়ুর ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে। সারা বছর কম বেশি নাড়ু হিন্দু বাড়িতে তৈরি হয়। তবে এসব কারণে পূজার সময় নারকেলের চাহিদা বেড়ে যায়। তানোর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এক জোড়া ঝুনা নারকেল আগে ১০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে হয়েছে ২০০-২৫০ টাকা।বিক্রেতাদের দাবি,ডেঙ্গু জ্বরেরর কারণে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার দাম বেড়েছে নারকেলের। অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন,ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই দাম বাড়ায়,দাম বাড়ানোর জন্য একটা অজুহাত দেখান তারা।নারিকেল ব্যবসায়ী সুমন বলেন,সারাবছর কম-বেশি বেচাকেনা হলেও পূজা উপলক্ষ্যে বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি।পূজার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই কদর বাড়ছে নারিকেলের।দরদাম কষাকষির পাশাপাশি পুজার নারিকেল কেনার জন্য ছুটাছুটি করছে ক্রেতারা এ দোকান থেকে অন্য দোকানে।একই সঙ্গে গুড়ের দোকানেও ভিড় দেখা যায়।সরেজমিনে তানোরের চৌবাড়িয়া বাজারে দেখা যায়,নানা ধরনের ও আকারের নারিকেলের পসরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানীরা। তবে সব দোকানে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতার সংখ্যাই বেশি চোখে পড়ে। এবছর ছোট আকারের নারিকেল প্রতি জোড়া ২২০ টাকা, মাঝারি ২৬০ টাকা এবং বড় সাইজের নারিকেলের জোড়া ৩০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে।কামার গাঁ ইউনিয়নের বাতাস পুর গ্রামের তুলসী রানী স্বপরিবারে এসেছেন চৌবাড়িয়া বাজারে পুজার নারিকেল কিনতে। তিনি জানান, নারিকেল ছাড়া পূজার কথা ভাবাই যায় না দাম যতই হোক। উপজেলা উজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্মল সরকার বলেন,পুজার জন্য ৩০০ টাকা জোড়ায় ১৬’টি নারিকেল কিনেছি।গতবারের চেয়ে এবার দাম অনেক বেশি। চোবাড়িয়া বাজারের নারিকেল দোকানদার ফরহাদ ও জনি বলেন,৬ বছর আগে এই নারিকেল ৬০ থেকে ৭০ টাকা জোড়ায় বিক্রয় করেছি এখন সেই নারিকেল বিক্রয় করতে হচ্ছে আকার ভেদে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা জোড়ায়। ছাব্বির হোসেন বলেন, এবছর দূর্গাপুজাকে সামনে রেখে মোকামেই বেশি দামে নারিকেল কিনতে হচ্ছে এজন্য আমাদেরকেও একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্যাম কুমার দত্ত জানান, এ বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় মোট ৫৮’টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পূজা পার্বণে মিষ্টান্নরপাশাপাশি নারিকেলের নাড়ু ও গুড়-মুড়ির মোয়া হচ্ছে পূজার অন্যতম উপকর
ণ।