সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
সারাদেশের নেই রাজশাহীর তানোরে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।এই পূজা উদযাপিত হচ্ছে ব্যাপক উৎসাহ- উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে।বাদ্য-বাজনা,ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও আনন্দঘন পরিবেশে মণ্ডপজুড়ে পূজারিদের পদচারণায় উৎসব রঙ ছড়াচ্ছে চারদিকে।তবে এবারের পূজা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্ব বহন করছে,কারণ সামনে রয়েছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোট টানতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মণ্ডপে মণ্ডপে ছুটে যাচ্ছেন। শুভেচ্ছা বিনিময়,উপহার প্রদান ও আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভোটের আস্থা অর্জনে সচেষ্ট হচ্ছেন তারা।বিএনপি,জামায়াতে ইসলামি, গণ অধিকার পরিষদ,জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ মন্দির ও পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন। তানোরের বিভিন্ন মন্দিরে বিএনপির পক্ষ থেকে পূজারিদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন রাজশাহী -১ তানোর গোদাগাড়ী আসনের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ( বিএনপি) ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী বিশিষ্ট শিল্পপতি,সমাজ সেবক, জিয়া ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য, কারা নির্যাতিত নেতা জনাব আ্যাডভোকেট সুলতানুল ইসলাম তারেক।একইভাবে জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান মণ্ডপ পরিদর্শন করে পূজার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন এবং ধর্মীয় অব অবস্থানের গুরুত্ব তুলে ধরেন।এ বছর তানোর – গোদাগাড়ী ১০০টি পূজা মণ্ডপে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ প্রশাসন, পূজা উদযাপন পরিষদ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।নেতাদের উপস্থিতি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ তানোরের দুর্গাপূজাকে আরও বর্ণিল করে তুলেছে,তবে ভোটের রাজনীতিতে এই সম্প্রীতির বার্তাকে অনেকে দেখছেন কৌশল হিসেবেও। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,হিন্দু ভোটারদের মন জয় করতেই পূজায় বাড়তি সক্রিয়তা দেখাচ্ছেন নেতারা। শারদীয় দুর্গাপূজার এই চিত্র বাংলাদেশের ধর্মীয় সহনশীলতা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার এক অনন্য মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে।