সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তরুণ এক সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চারজন নামধারী প্রতিবেশিরা এ হামলা চালায়। এসময় আহত অবস্থায় সাংবাদিক রাজু আহম্মেদকে উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েভর্তি করা হয়। এঘটনায় সাংবাদিক রাজু আহম্মেদ বাদি হয়ে রোববার রাতে চারজনের বিরুদ্ধে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার বাড়ি উপজেলার কামারগাঁ ইউপির কৃষ্ণপুর গ্রামে। পিতার নাম আমিনুল ইসলাম। রাজু দৈনিক খবর পত্রিকার তানোর প্রতিনিধি ও তানোর মডেল প্রেসক্লাবের সাংঠনিক সম্পাদক। উপজেলার কামারগাঁ ইউপির কৃষ্ণপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, সাংবাদিক রাজুর মাতা মোসা. রাসেদা বেগম (৫০) রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ির পাশে পুকুরে হাঁস দেখতে যান। পরে বাড়িতে ফিরে আসার পথে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত তাজির উদ্দিনের পুত্র হারুন আলী (৩২), তার স্ত্রী সাম্মি খাতুন (২৮), মামুন আলীর পুত্র মাইনুল (২৩) ও তাজির উদ্দিনের পুত্র মোহাম্মাদ শুভ (২০) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালাজ করে মারার জন্য তেড়ে আসে। এসময় প্রাণের ভয়ে রাজুর মা রাসেদা বেগম পালিয়ে রক্ষা পাই। এঘটনার ঘন্টা খানেক পরে সাংবাদিক রাজু পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাবার পথে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় বিবাদীরা। এতে গুরুতর আহত আহত হন সাংবাদিক রাজু। এসময় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েভর্তি করেন। এনিয়ে সাংবাদিক রাজু বাদি হয়ে চারজন নামধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবিষয়ে সাংবাদিক রাজু আহম্মেদ জানান, বিবাদী প্রতিবেশি হারুন, সাম্মি, মাইনুল ও মোহাম্মাদ শুভর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে দীর্ঘদিন যাবৎ তার পরিবারের সাথে বিভিন্ন কারণে অকারণে শত্রুতা করে আসছে। ঘটনার দিন তিনি কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তার ওপর অতর্কিত হামলা করে মারধর শুরু করে। পরে মাটিতে ফেলে হাত, পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করে ও সবকিছু কেড়ে নেয়। অভিযুক্ত হারুন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন- রাজুর সাথে তাদের পারিবারিক শত্রুতা রয়েছে। কি জন্য শত্রুতা রয়েছে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যায় তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, রাজুর ওপর হামলার ঘটনা দেখেছি। তবে কি কারণে হামলা হয়েছে তা বলতে পারেনি কেউ। তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্রে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজনীন আক্তার বলেন, সাংবাদিক রাজুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। একারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এব্যাপারে তানোর থানার ওসি আফজাল হোসেন বলেন, সাংবাদিক রাজুর ওপর হামলার ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাক্ষেপে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওসি