লেখক -মোঃ আসাদুজ্জামান আইনজীবী এবং রাজনৈতিক কর্মী
২৮ অক্টোবর, ২০২৫-মাধবী-২২৪ দেখতে দেখতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, মানুষ তাঁদের কাংখিত ভোটের অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ ফিরে পেতে যাচ্ছে, বাংলাদেশ পেতে যাচ্ছে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মর্যাদা! এই রাষ্ট্র, এই দেশ, এই মাতৃভূমি আমার কাছে জীবনের সমান মূল্যবান, জননীসম প্রিয়। তোমার প্রতি আমার রাগ-অনুরাগ , অভিযোগ-অনুযোগের অনুভূতি আর অনুভব যত প্রকট, যত গভীর, যত আবেগপূর্ণই হোক না কেনো, তা আমার দেশের প্রতি ভালোবাসার তুলনায় এক কণাসম। কখনো যদি দেশের প্রয়োজনে কোন ডাক আসে, তখন যদি কেউ আমাকে শুধোয়, ‘দেশ, না প্রিয়তমা মাধবী’? আমি দ্বিধাহীন মনে, নিঃশংক চিত্তে দেশ বেছে নেবো, তোমাকে পথের প্রান্তে ফেলে রেখে দেশ বাঁচাতে আমার মধ্যে বিন্দুমাত্র পিছুটান থাকবে না! কারণ, একজন নারীর প্রতি প্রেম কখনো দেশপ্রেমের থেকে বড় হতে পারে না। সেই কবে থেকে, আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে, যখন গাড়াগন্জ বহুমূখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র ছিলাম তখন মান্নান ভাই ( বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের বিভাগের বিচারপতি) এবং আমার গ্রামের কেরামত ভাই’র হাত ধরে ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি হয়। তারপর বহুপথ, বহুদেশ ঘুরে জীবনের পরিক্রমায় কতবার মৃত্যুর দূয়ার দেখেছি, কতবার জীবনানন্দ থেকে ধার করে আপন খেয়ালে আওড়েছি, মৃত্যুরে বন্ধুর মতো ডেকেছি তো , প্রিয়ার মতোন, চকিত শিশুর মতো তার কোলে লুকায়েছি মুখ ; রোগীর জ্বরের মতো পৃথিবীর পথের জীবন, অসুস্থ চোখের ‘পরে অনিদ্রার মতোন অসুখ !মাধবী,আগামী ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি জুড়ে বাংলাদেশে বসন্ত নামবে, নির্বাচনী বসন্ত, গনতন্ত্রের ফাগুন হাওয়া বইবে, সেই বসন্তে, সেই ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় আমি ঘুরে বেড়াবো শৈলকুপার পথে প্রান্তরে, ত্রীবেনী থেকে লাঙ্গলবাঁধ, কাঁচেরকোল থেকে ভিক্ষাকোল পর্যন্ত হাঁটবো নিদ্রাহীন রাত, পৌঁছানোর চেষ্টা করবো প্রায় একলক্ষ একহাজার পরিবারের সাড়ে তিনলক্ষ ভোটারের কাছে। সে সময় তোমার কি সময় হবে? তুমি কি আমার অফুরাণ প্রেরণার অনবদ্য কাঁকনের শব্দ হয়ে থাকবে মাধবী? ঐ বসন্তসম দিনগুলোতে, ঐ ভালোবাসাময় সময়গুলোতে, ঐ নিদ্রাহীন রাতের বাসরে তোমার প্রেরণা আমার শক্তি আর সাহসের সলতে হয়ে আলো ছড়াবে। আমি পথের ক্লান্তি ভুলে ছুটে যাবো পথ থেকে পথের প্রান্তরে, শৈলকুপার আল পথ-মেঠো পথ ধরে শিশির মাড়াবো, স্রোতস্বিনি কালী-কুমার আর গড়াইয়ের পাড় ধরে লিখে যাবো উন্নয়নের রুপকথা, শতাব্দীর দেয়ালে দেয়ালে লিখবো শৈলকুপার আলো বাতাস আর মানুষের ভালোবাসা আর ভালো থাকার কথা। ভোরের আলো, রোদেলা দুপুর, মিঠেল গোধূলি বেলা, কণে দেখা আলো আর মায়াবী চাঁদের রাতে কল্পনায় তোমাকে নিয়ে যখন হাঁটবো তখন না হয় আনমনে কোন এক ফাঁকে দু’জনাই গেয়ে উঠবো, ‘ও আকাশ সোনা সোনা, এ মাটি সবুজ সবুজ, নতুন রঙের ছোঁয়ায় হৃদয় রেঙেছে, আলোর জোয়ারে খুশীর বাঁধ ভেঙেছে….!আজ আর কল্পনার জাল না বুনি, আগামী দিনগুলোয় স্বপ্নের পথ ধরে হেঁটে যাবো, যাবোই তো, তুমি হবে সেই স্বপ্নের পথের সারথী, আমার অহর্ণিশ রাত জাগা প্রতীক্ষার প্রহরের দোসর!
শ