পাবনা -২ আসনে বিএনপির দলীয় এমপি পদপ্রার্থী ঘোষণা দিলেন – আজম আলী বিশ্বাস
এম মনিরুজ্জামান,পাবনা: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, পাবনা – ২ আসনে (সুজানগর – বেড়া) নির্বাচনী এলাকায়,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী, সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সুজানগর কেন্দ্রীয় বাজার মসজিদের সভাপতি,সুজানগর বণিক সমিতির আহবায়ক এবং একাধিক বার কারা নির্যাতিত ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব আজম আলী বিশ্বাস। শনিবার সকালে পাবনার সুজানগর ও বেড়া উপজেলায় শত শত দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে ব্যাপক শোডাউন মাধ্যমে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ঘোষণা করেন। শোডাউনে যোগদানের জন্য বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সুজানগর উপজেলা চত্বরে অবস্থান করে। এরপর আলহাজ্ব আজম আলী বিশ্বাস কে নিয়ে সুজানগর ও বেড়া উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নাজিরগঞ্জ,কাজীর হাট, কাশিনাথ পুর, নগরবাড়ি সহ বিভিন্ন স্থানে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বক্তব্যে আলহাজ্ব আজম আলী বিশ্বাস বলেন, আওয়ামী সরকারের দুঃশাসনের সময় সুজানগর বাজারে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে গুরুতর আহত করেছিল, তখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে, বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে দেখতে গিয়েছিলেন এবং আমাকে আশ্বস্ত করেছিলেন এর প্রতিদান আপনি পাবেন। এছাড়াও আমার বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দিয়েছিল, আমাকে মিথ্যা হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। একাধিক বার কারাবরণ করেছি। দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে সবসময় পাশে থেকেছি। এই জন্যই দলীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমাকে পাবনা – ২ আসনে এমপি হিসেবে পেতে চায়। তিনি আরো বলেন, আমরা আর কি নির্যাতিত হয়েছি, সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন,
আমাদের চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা। বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী বলা কেন, তিনি কোন অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি। তিনি দীর্ঘদিন কারাবরণ করেছেন, তাকে একটি পরিত্যক্ত কারাগারে নির্জনে রাখা হয়েছে, চিকিৎসাহীন অবস্থায় তাকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে নির্যাতন করে মেরুদন্ডের হাড় পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অবশেষে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। জনাব তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে এই দলের হাল ধরেছেন।তার দিকনির্দেশনা মেনে দলীয় নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। জনাব কোকোকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছে। আমরাও নির্যাতিত তাই দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান কে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি, নিজে নির্যাতিত হয়েছি, আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, মিথ্যা হত্যা মামলার আসামি করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রেখেছি। এখন আমাদের সামনে সুসময় এই জন্যই দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দলের হাই কমান্ডের নেতৃবৃন্দ কে বলতে চাই, সবদিক বিচার বিশ্লেষণ করে আমাকে পাবনা ২ আসনের সংসদ সদস্য হিসাবে মনোনয়ন দিবেন বলে আশা করছি।