তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ জাকির হোসেন-টুটুল।
রাজশাহীর তানোরে অধিগ্রহণ করা সরকারি জমি জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তানোর বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর যোগসাজশে আজিজুল দিগর জালিয়াতি করে এসব জমি বিক্রয় করেছে।
তানোর পৌরসভার ৫-নম্বর ওয়ার্ডের গোল্লাপাড়া/ নামো-গোল্লাপাড়া মহল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে।
অধিগ্রহণ করা জমি বিক্রয়ের বিষয়ে আবাসিক প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়। কিন্ত্ত রহস্যজনক কারণে আবাসিক প্রকৌশলী জমি বিক্রয় ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে নিরব ভূমিকা পালন করেন।
তানোর উপজেলার জেল নম্বর ১৪২, মৌজা গোল্লাপাড়া নামোপাড়া,আর এস খতিয়ান নম্বর ৮২, দাগ নম্বর ৪৯১, শ্রেণি ধানী, পরিমান দশমিক ০৩ ও কবরস্থান পরিমান দশমিক ০৭৫ একর। খারিজ খতিয়ান নম্বর-
প্রস্তাবিত ৩১৬, হোল্ডিং নং ৩১৬ এবং
খারিজ খতিয়ান নম্বর ৫৭৫ ও হোল্ডিং নং- ৫৭৮। পৈতৃক সুত্র এসব জমির মালিক মৃত মনির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আজিজুল হক মন্ডল-দিগর।
তানোর বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলীর কার্যালয় নির্মাণের জন্য এসব জমিসহ বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে থেকে জমি অধিগ্রহণ করা হয়। যাহার এল এ কেস নম্বর ২১/২০১৬-১৭ অর্থবছর।
অন্যদিকে গত ১-সেপ্টেম্বর (সোমবার) গোপণে আজিজুল দিগর রেজিষ্ট্রি দলিলের মাধ্যমে সাবেক প্রধান শিক্ষক, কেরামত আলীর নিকট ৫ লাখ টাকায় এসব জমি বিক্রয় করেছে। অথচ গত ২৬-আগস্ট উপজেলা প্রশাসন থেকে জমি বিক্রয় বন্ধের জন্য আবাসিক প্রকৌশলীকে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল।
স্থানীয় জনগণ সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তানোর বিদ্যুৎ বিভাগের (নেসকো) আবাসিক প্রকৌশলী অমিত হাসান আরিফ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি জমি বিক্রয়ের পরে জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন, এসব জমি উদ্ধারে কাজ শুরু করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আজিজুল মন্ডল বলেন, তাদের জমি তারা বিক্রি করেছেন, এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।