হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ডেইয়াতলী আইডিয়াল স্কুলের ছাত্রী নুরজাহান (১৪)। গত ( ১২আগষ্ট) মঙ্গলবার বিকাল অনুমান ০৪:০০ ঘটিকার সময় ডেউয়াতলী আইডিয়াল হাই স্কুল এর সামনে রাস্তা থেকে হারিয়ে (অপহরণ) হয়ে যায় অনেক খুজাখুজির এক পর্যায়ে ১নং আসামীর বোন জামাই শাহিন মিয়া নুরজাহানের মাকে মোবাইলে কল করে বলে আমার মেয়েকে বিবাদীগণ জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে ময়মনসিংহ নান্দাইল গ্রামে।
তৎক্ষনাৎ ১৩/০৮/২০২৫ইং তারিখে উক্ত বিষয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী অর্ন্তভুক্ত করি, যাহার জিডি নং- ৭৬৯। পরবর্তীতে শাহিন মিয়া আমাদের উক্ত ঠিকানা যেতে বলে ।
আমরা তাদের দেওয়া ঠিকানা মতে সেখানে যাই গিয়ে আমার মেয়েকে পাইনি। তারা বলে আমরা যাবার আগেই নাকি মেয়ে তাদের এখান থেকে পালিয়ে যায়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, আসামীগণ দলভুক্ত বানব পাচারকারী ও লোভী প্রকৃতির লোক বটে।
১নং আসামী আমার মেয়ের স্কুল ব্যাগ ও তার মোবাইল ফোন বলে একটি ফোন কিনে আমাদের দেয় যা আমাদের মেয়ের মোবাইল ফোন না উক্ত ফোনটিসহ সিম সহ চুনারুঘাট থানায় জমা আছে।
আসামীগণ আমার মেয়েকে নিয়ে ছলচাতুরী শুরু করেছে। তারা আমার মেয়েকে যে কোন সময় যে কোন প্রকার ক্ষতি করিতে পারে, আসামীগণ মানব পাচারকারীর সাথে যুক্ত তারা আমার মেয়েকে বিদেশে পাচার করে দিতে পারে। এমনকি যে কোন সময় আমার মেয়েকে মেরে গুম করে ফেলবে। আমার মেয়ের বয়স ১৪ বছর সে নাবালিকা তাকে তারা পতিতালয়েও বিক্রি করে দেবার পায়তারায় লিপ্ত।
নুরজাহানের মা পারুল আক্তার বলেন উক্ত ঘটনার সবকিছু জানেন ১নং আসামীর বোন জামাই শাহিন মিয়া সমস্ত বিষয় আমাদের জানিয়েছে তিনি আরও বলেন ফাতেমা এবং শাহিন মিয়া আমার মেয়েক পালিয়ে যাওয়ার সকল বন্দোবস্ত করেছে ।
আসামীগণ ১। ফাতেমা আক্তার, পিতাঃ ফিরোজ আলী, নোয়াগাঁও, পোঃ পঞ্চাশ, উপজেলাঃ চুনারুঘাট, জেলাঃ হবিগঞ্জ, মোবাঃ তার অবিভাবক বোন জামাই শাহিন মিয়া
২। মোঃ সজিব মিয়া, পিতাঃ মোজাম্মেল হক, অভিবাবক চাঙা (কাজল মিয়া)
৩। কাজল মিয়া, পিতাঃ আব্দুল গফুর সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন উভয় সাং-অরন্যপাশা, উপজেলাঃ নান্দাইল, জেলাঃ ময়মনসিংহ।
নুরজাহানের পারুল আক্তার কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমি পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছে, থানায় জিডি করেছি কই আমার পাশে তো কেউ আসেনি আজ বুঝতে পারছি গরিবের বিচার নেই ।