ভাঙ্গা ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর-৪ আসনের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দার সঙ্গে যুক্ত করার গেজেট প্রকাশের প্রতিবাদে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে ভাঙ্গা। এর প্রতিবাদে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তৃতীয় দফায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় হাজারো মানুষ।
সকাল থেকে মহাসড়ক অবরোধ
সকাল ৮টার পর থেকেই ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা-বরিশাল মহাসড়ক এবং ভাঙ্গা-ফরিদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা টায়ার জ্বালিয়ে, গাছ কেটে ফেলে ও ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। প্রায় ৩০ কিলোমিটারজুড়ে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে কয়েক হাজার যানবাহন, দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
যাত্রীদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ আটকে থেকে চরম ভোগান্তির শিকার হন। বিশেষ করে নারী, শিশু ও অসুস্থ রোগীরা বিপাকে পড়েন। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দিনের বেশিরভাগ সময়।
কর্মসূচি শিথিল
বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানাধীন হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চলমান অবরোধ কর্মসূচি শিথিল করা হয়। অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই মহাসড়কে আটকে থাকা যানবাহন চলাচল শুরু করে। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে ঢাকা-খুলনাগামী ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য রুটের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
তবে দীর্ঘ সময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকে থাকা হাজারো গাড়ি একসঙ্গে চলাচল শুরু করায় সন্ধ্যার পরও স্বাভাবিক হতে সময় লাগে।
বিক্ষোভকারীদের ঘোষণা
অবরোধ শিথিল করলেও বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাদের আন্দোলন চলবে। তারা বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
প্রশাসনের বক্তব্য
কর্মসূচি শিথিলের পর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে।