জহির মোল্লা :প্রধান সম্পাদক ফরিদপুর
বোয়ালমারীতে এক নারীর বিরুদ্ধে এক সঙ্গে দুই স্বামীর সংসার করার অভিযোগ পাওয়াগেছে। বোয়ালমারী পৌর সদরের আধারকোঠা নিবাসী ঐ নারীর নাম অঞ্জলি বিশ্বাস। জানাযায়,অঞ্জলির আসল স্বামীর নাম অলোক রাজবংশী। ৭/৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় আসল স্বামী অলোকের চোখ ফাঁকি দিয়ে তারই ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিঠুর রাজবংশীর সঙ্গে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে অঞ্জলি বিশ্বাস। সম্পর্ক গভীর হওয়ার এক পর্যায়ে অর্থাৎ মাস তিনেক আগে অতি গোপনে তারা (অঞ্জলি-নিঠুর) বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সেই থেকে দিনের আলোয় অঞ্জলি অলোকের সংসার করলেও চোখের আড়াল হলেই সে চলে যেতো নিঠুরের সান্নিধ্যে। অবশ্য এর আগেও অনেক বার তাদের মধ্যে সান্নিধ্য লাভের ঘটনা ঘটেছে। অঞ্জলি-নিঠুর এই লুকোচুরি খেলার ধারাবাহিকতায় গত ১৯ আগস্ট রাতে তারা দু’জনে মাগুরার মোহাম্মদপুরের একটি বাড়িতে একান্তে বসবাসের চেষ্টা করলে ধরা পরে স্থানীয়দের হাতে। খবর জানাজানি হলে আধারকোঠার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।আর এ ঘটনার ভিতর দিয়েই ফাঁস হয় অঞ্জলি-নিঠুরের বিয়ের ঘটনা। উদ্ধারকারীরা অঞ্জলিকে তার আসল স্বামী অলোক রাজবংশীর হাতে তুলে দিলেও অঞ্জলির দাবি তিনি নিঠুরের সংসার করবেন। অঞ্জলি বলেন,নিঠুর আমার বিবাহিত স্বামী। ৩-৪ মাস আগে সে আমাকে সিঁদুর পরিয়ে বিবাহ করেছে। আমি তার সংসারেই যেতে চাই। অবশ্য অঞ্জলির এই দাবী নাকোচ করে নিঠুর রাজবংশী বলেন,অঞ্জলির দাবী মিথ্যা। আমি তার স্বামী অলোকের কাছে ৩ লক্ষ টাকা পাই। এই টাকার জন্য চাপ দিলেই অলোক তার স্ত্রীকে দিয়ে আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলাতো। আর এ ভাবেই একটা আন্তরিকতার তৈরী হয়। এর বাইরে কিছু হয়নি। অলোক রাজবংশী বলেন,আমার স্ত্রী আমার সংসারেই আছে। ঘটনার দিন সে এলাংখালী ব্রিজে ঘুরতে গিয়েছিলো। পরে সেখানে কি ঘটেছে আমি বলতে পারব না। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়,অলোক,নিঠুর কেউই লোক সুবিধার নয়। ওদের কারণে এলাকার মান-সম্মান আর কিছু রইলো না। মঙ্গলবার রাত ভর এ নিয়ে মহল্লায় অনেক হৈচৈ, শালিস-দরবার হয়। পরে নাকি অনেক টাকায় মিটমাট হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।